সর্বশেষ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে মেরুদণ্ড শক্ত রাখার চেষ্টা করব: সিইসি

প্রকাশ :


/ কাজী হাবিবুল আউয়াল /

২৪খবরবিডি: 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে মেরুদণ্ড শক্ত রাখার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, মেরুদণ্ড বাঁকা বা নতজানু নয়, শক্ত রাখার চেষ্টা করা হবে। সংলাপ শেষে দলগুলোর বক্তব্য পর্যালোচনা করে সরকারসহ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।'

বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংলাপের নবম দিনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে বিজেপি ইসির এ সংলাপ বর্জন করে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে।

-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাদের সঙ্গে সংলাপে সিইসি বলেন, সময় পাল্টে গেছে, এটাই বাস্তবতা। তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা নেতৃত্ব দিয়ে পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বটা সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করব। নির্বাচনকালে সংবিধান, আইন ও বিধিবিধানের আলোকে ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে বলে জানান সিইসি।

'কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের সাধারণ মানুষ ভোটাধিকারসহ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। নতুন ইসি দায়িত্ব নেওয়ায় তাঁরা আশাবাদী হয়েছিলেন। কিন্তু কুমিল্লার ভোটে ইসির অসহায়ত্ব এবং বিভিন্ন অসংলগ্ন কথাবার্তা দেশের মানুষকে করেছে বিস্মিত। ইভিএম নিয়ে ইসির অতি উৎসাহ এবং অকল্পনীয় পুরস্কারের ঘোষণায় ক্ষমতাসীনদের তল্পিবাহক হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এসব বক্তব্য জনগণকে এরই মধ্যে সন্দিহান করে তুলেছে।'

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে মেরুদণ্ড শক্ত রাখার চেষ্টা করব: সিইসি

'নির্বাচনকালীন সরকার এবং প্রশাসন দলনিরপেক্ষ না হলে কোনোভাবেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয় বলে মনে করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলা হয়। দলের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এর আগে কাজী রকিব কমিশন উপহার দিয়েছে ১৫৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন সংসদ সদস্য। কে এম নূরুল হুদা কমিশন নৈশভোটের প্রহসনের মাধ্যমে পুরো জাতি এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বকে হতাশ করেছে। এ দুটো কমিশনই বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।'

-ঘরে বসে ভোটের ব্যবস্থা চায় জাকের পার্টি: ইভিএম নয়, ব্লক চেইন টেকনোলজি এবং ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা চায় জাকের পার্টি। সেই সঙ্গে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সদস্য ও সমর্থকদের তথ্য প্রকাশও চায় দলটি। জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে এই প্রস্তাব দেয়। দলটির প্রস্তাবে ইভিএম পুরো নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বলা হয়, সূক্ষ্ণ পরিবর্তন ঘটিয়ে এক প্রতীকের ভোট অন্য প্রতীকে গণনার আশঙ্কা রয়েছে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত